মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

রবিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি ছিল—ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু মেদভেদেভের বক্তব্য সেই যুক্তিকে বুমেরাং করে তুলেছে।
মস্কো এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “কোনো সার্বভৌম রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে হামলা চালানো জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন।”
রাশিয়া এখন কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানালেও, এই সুরের নিচে রয়েছে একটি সম্ভাব্য কৌশলগত মেরুকরণ। যা শুধু যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বিরোধেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়াকে একত্র করে এক অঘোষিত অক্ষ গড়ে তুলছে।
হামলার আগের দিন ইরানের ফোরদো স্থাপনার কাছে সন্দেহজনকভাবে কিছু ট্রাক উপস্থিত ছিল—একটি স্যাটেলাইট চিত্রে এমনটাই দেখা গেছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এ থেকেই হয়তো যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত হয় যে সেখানে গোপন কার্যক্রম চলছে।
তবে তেহরান এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ইরান দাবি করে, “স্থাপনাগুলো অক্ষত রয়েছে এবং কোন তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি।”
মেদভেদেভ বলেন, “এই হামলা ইরানের জনগণের মনোবল ভাঙেনি। বরং আগের চেয়েও তারা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। এমনকি যারা আগে সমালোচক ছিলেন, তারাও এখন জাতীয় নেতৃত্বের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছেন।”
এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—কোন দেশ ইরানকে পরমাণু বোমা দিতে রাজি হয়েছে?
Comments
Post a Comment